সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ, রাষ্ট্রিয় ধর্ম ইসলাম স্বীকৃতি এরশাদ সরকারের আমলে হয়েছে। এক আদেশে কৃষকের ৬০০ কোটি ঋণ মওকুপ করা হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য বন্ধ করতে নিজ দলের ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করেন। জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদসহ অনেক উন্নয়নকর্ম এখনো পুরো দেশের জন্য দৃষ্টান্ত। দেশের উন্নয়নে পল্লীবন্ধু আলহাজ্ব হুসেইন মু. এরশাদের সরকারের বিকল্প নেই।
শুক্রবার (৮ডিসেম্বর) বিকালে মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির কর্মী সভায় জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনে জাপা মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব মোহাম্মদ মোহিবুল্লাহ এসব কথা বলেন।
কালারমারছড়া বাজারে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এরশাদ সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে জননেতা মোহিবুল্লাহ বলেন, আমার নেতা এরশাদ ঘুমানোর সময় চিন্তা করতেন কিভাবে দেশের উন্নয়ন করা যায়। কিন্তু বিএনপি ক্ষমতায় গিয়ে সমস্ত উন্নয়ন কর্মকান্ড স্তিমিত হয়ে পড়ে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে খুন, গুম, অপহরন, সন্ত্রাস বেড়ে গেছে। দেশের মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারেনা। এরশাদের সরকারই দেশের মানুষের মুক্তি দিতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা সেই নেতার রাজনীতি করি যে নেতা কারাগারের ভেতর থেকে ৫ আসনে এমপি নির্বাচিত হন। জনগণের কল্যাণ চিন্তা করেন বিধায় এরশাদ দেশ ছেড়ে যাননি। বিদেশ না ঘুরে গ্রামের দুর্দশা দেখতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। চিন্তা করেন কিভাবে মাুষের জীবন মান উন্নত করা যায়। এ কারণে এরশাদকে পল্লীবন্ধু উপাধী দেয়া হয়েছে।
মাতারবাড়ীর মানুষের পক্ষ হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে জাপার কেন্দ্রীয় নেতা মোহিবুল্লাহ বলেন, আপনার জন্য মহেশখালীর মানুষ অনেক কিছু বিসর্জন দিয়েছে। উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নিজের বসতভিটাও দিয়ে দিয়েছে। কিন্তু মাতারবাড়ীবাসী কি পেয়েছে? এখানকার ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য চিন্তা করুন। ক্ষতিপূরণের টাকা নিতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও দালালদের কারণে অনেকে প্রকৃত ক্ষতিপূরণের টাকা পাচ্ছেনা। কয়লাবিদ্যুত প্রকল্পে স্থানীয়দের কর্মসংস্থান করুন।
জনগণের কাছে নিজেকে সপে দিয়ে জাপার এই এমপি প্রার্থী বলেন, আমি নিজের সবকিছু বিসর্জন দিয়ে মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। নির্বাচিত হই বা না হই মানুষের পাশে থাকব। আমার দ্বারা কারো উপকার না হলেও কোন ক্ষতি হবেনা। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি সন্ত্রাসে বিশ্বাস করেন। নিজ দলের নেতা হলেও কোন অপরাধী আমার কাছে প্রশ্রয় পাবেনা। সব অপরাধ কঠোর হাতে দমন করা হবে।
জেলা জাপার সদস্য মোছাদ্দেক ফারুকীর স্বাগত বক্তব্যে শুরু হওয়া সভায় কেন্দ্রীয় নেতা আলহাজ্ব মোহাম্মদ মোহিবুল্লাহ বলেন, আর কোন ৫ জানুয়ারী মার্কা নির্বাচন নয়। দখলবাজি চলবেনা। আগামী নির্বাচন হবে গণতান্ত্রিক পন্থায়। বিকাশ এমপি হওয়ার পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এ সময় তিনি একক হোক জোটগত বা মহাজোটগত হোক জাপার লাঙলই মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসন থেকে নির্বাচন করবে বলে ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে তিনি নেতাকর্মীদের দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি অটল থাকারও আহবান জানান।
কালারমারছড়া জাপার সভাপতি ডাক্তার মোস্তাফা কামালের সভাপতিত্বে সভায় বক্তৃতা করেন- উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আলহাজ্ব আজিজুল হক, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল বশর পারভেজ, জেলা জাপা নেতা ডা. মোহাম্মদ সোহেল, সিরাজুল মোস্তফা বাঁশি, আরব আলী, আশরফ আলী, পৌরসভা সভাপতি আবদুল গফুর ঠিকাদার, সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার আবুল মঞ্জুর, উপজেলা যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন সাকা, উপজেলা ছাত্র সমাজের সভাপতি আবদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ফখরুদ্দিন, বড় মহেশখালী জাপা সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দিন, কালারমারছড়া সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মো: আবু বকর ছিদ্দীক, জাপা নেতা মোস্তাক আহমদ মেম্বার, জালাল বাহাদুর, মাওলানা সিহাব উদ্দিন, জাফর আলম জিকু, বশরত আলী (জাতীয় বাদশা), কালারমারছড়ার ১ নং ওয়ার্ড সভাপতি গোলাম কাদের, ৭ নং ওয়ার্ড সভাপতি নুর মোহাম্মদ, মাতারবাড়ী যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক আলতাফ উদ্দিন খোকন।
নুর মোহাম্মদ ও সালাহ উদ্দিন সাকার পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন মাতারবাড়ী জাপার সভাপতি সালাহ উদ্দিন, হোয়ানকের জাপা নেতা নাসির উদ্দিন, শপলাপুরের জাপা নেতা রহমত উল্লাহ, মাতারবাড়ী ছাত্র সমাজের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, বড়মহেশখালীর জাপা নেতা আবছার কামাল, পৌরসভা নেতা মাওলানা আলী আহমদ, শাপলাপুর জাপা নেতা মোস্তাক আহমদ, কালারমারছড়া ৩ নং ওয়ার্ড জাপা সভাপতি রফিকুল ইসলাম, ছাত্র সমাজের আহবায়ক তোফায়েল আহমদ প্রমুখ। সভায় কালারমারছড়ার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে স্বতঃর্স্ফূর্ত কর্মী-সমর্থক মিছিল সহকারে অংশ গ্রহণ করেন। বিকাল ৪টা নাগাদ সমাবেশস্থল হাজারো জনতায় ভরপূর হয়ে ওঠে। সন্ধ্যা হতেই সর্মীসভা জনসভায় পরিণত হয়।